Thursday, January 31, 2019

প্রাকৃতিকভাবে পাকা কলা ও রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কলা চেনায় উপায়!


জেনে নিন এবং রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন; কারণ রাসায়নিক প্রয়োগে পাকানো কলা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি!

Note: ফটোটি সেভ করার পর ওপেন করে জুম করলে ভালো দেখতে পাবেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, January 24, 2019

সয়াবিন তেল ও পাউডারে তৈরি নকল দুধ!


বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় নকল দুধের কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জব্দ করেছে নকল দুধ ও দুধ তৈরির বিভিন্ন রাসায়নিক উপকরণ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ রোববার সকালে উপজেলার শিহিপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। সেখানে দলটি নকল দুধ তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নকল দুধ এবং এই দুধ তৈরিতে ব্যবহৃত সয়াবিন তেল, হোয়াইট পাউডার, হাইড্রোজেন পার অক্সাইডসহ নানা রাসায়নিক উপকরণ জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজন কারিগরকে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনার বেড়া উপজেলার নাকালিয়া গ্রামের সরজিত ঘোষ, একই উপজেলার পাটুরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুল হান্নান এবং সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ঘোষ পাড়ার সজীব কুমার ঘোষ।

পুলিশ আরও জানায়, কারখানাটিতে কেমিক্যাল মিশ্রিত সাদা পাউডার, মিল্ক পাউডার, গ্লুকোজ এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তৈরি করা হতো তরল দুধ। নকল এই দুধ গরুর খাঁটি দুধ বলে বিক্রি করা হতো খুচরা ও পাইকারি বাজারে। তরল দুধ বাজারজাতকারী বিভিন্ন কোম্পানিতেও সরবরাহ করা হতো এই নকল দুধ। দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে ভেজাল দুধ তৈরি করা হচ্ছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার তিন কারিগর। তাঁরা বলেছেন, সেখানে বছরে প্রায় সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ লিটার দুধ তৈরি করতেন তাঁরা। দুধে ননি আনতে মেশানো হতো সয়াবিন তেল। আর বেশি দিন সংরক্ষণ করতে মেশানো হতো হাইড্রোজেন পার অক্সাইড।

ঘটনাটি তুলে ধরতে আজ দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই কারখানা থেকে প্রায় ১০০ লিটার নকল তরল দুধ, ১০ কেজি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ২৫ কেজি হোয়াইট পাউডার, ১০ কেজি গ্লুকোজ, ২০ লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচটি ব্লেন্ডার মেশিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

এসপি জানান, ওই নকল দুধের কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে। প্রধান কারবারিদের ধরতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার কারিগরেরা পুলিশকে বলেছেন, কেমিক্যালের সঙ্গে নকল দুধে অনেক সময় ফরমালিনও মেশানো হতো।

বগুড়ার সিভিল সার্জন অর্ধেন্দু দেব বলেন, রাসায়নিক মিশ্রিত এসব ভেজাল দুধ মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পেটের পীড়া, ডায়রিয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর কারণে এসব দুধ খেয়ে কিডনি ও লিভার বিকল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সুত্র: দৈনিক 'প্রথম আলো' নিউজ।

ভালো থাকুন | School of Awareness

কীভাবে চিনবেন মধু আসল না নকল?


মধু প্রাকৃতিক খাবার। মিষ্টি স্বাদের এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আর খেতেও সুস্বাদু।
তবে বাজার থেকে মধু কিনতে গেলে অনেকেই ভয়ের মধ্যে থাকেন। কেননা, নকল মধুর ভিড়ে খাঁটি মধু কোনটি, সেটি চেনাই মুশকিল হয়ে যায়। তাই বলে কি মধু খাওয়া বন্ধ থাকবে?
একটু সতর্ক হয়ে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই কিন্তু বুঝবেন, আসল ও নকল মধু কোনটি।
প্রাকৃতিক মধু কারখানায় উৎপন্ন করা হয় না। তবে অনেকেই কারখানায় উৎপন্ন করে মধুকে প্রাকৃতিক হিসেবে বাজারে চালায়। তাই অনেক সময় খাঁটি মধু চেনা মুশকিল হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, নকল মধুগুলোতে বেশি লাভের জন্য চিনিযুক্ত সিরাপ মেশানো হয়। এতে মিষ্টির পরিমাণ বাড়ে। নকল মধু খেলে স্বাস্থ্যের কোনো লাভই হয় না। উল্টো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। আর নকল জিনিস কিনলে টাকার অপচয় তো হয়ই।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে নকল মধু চেনার কিছু উপায়ের কথা।
১. আঙুলের পরীক্ষা: সামান্য মধু বৃদ্ধাঙ্গুলে নিন। এর পুরুত্ব দেখুন। আসল মধু অনেক বেশি আঠালো হবে।
২. পানির পরীক্ষা: একটি খালি গ্লাসে পানি নিন। এর মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু ঢালুন। নকল মধু খুব দ্রুত পানির সঙ্গে মিশে যাবে। আর আসল মধু গ্লাসের তলানিতে গিয়ে জমতে থাকবে। পানিতে মিশতে সময় নেবে।
৩. ভিনেগার পরীক্ষা: মধুর মধ্যে সামান্য পানি ও দুই থেকে তিন ফোঁটা ভিনেগার দিন। যদি ফেনার মতো তৈরি হয়, তাহলে বুঝবেন মধুটি নকল।
এ ছাড়া মধু দেখলেও অনেক সময় বোঝা যায় নকল কি আসল।
নকল মধু:-
• ফেনা হয়।
• একটু টকটক গন্ধ থাকে বা গন্ধ তেমন ভালো হয় না।
• সহজে ঝরে যায়, পাতলা হয়।
• তলানিটা খসখসে থাকে।
• স্তরগুলো আলাদা করা যায়।
আসল মধু:-
• ফেনা হয় না।
• সব সময় পুরু থাকে।
• তলানিটা মসৃণ হয়।
• মধুর স্বাভাবিক সুন্দর গন্ধ থাকে।
• স্তরগুলো আলাদা থাকে না।
এখন আপনি জানলেন, কীভাবে আসল ও নকল মধু চিনবেন। তাহলে কেনার সময় একটু সতর্ক হবেন নিশ্চয়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 23, 2019

টেলিমালের ক্যামেরা কিনেছেন তো ঠকেছেন!

বিভিন্ন টেলিমাল কোম্পানি তাদের নাম ও ব্রান্ডবিহীন ক্যামেরা আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করে আসছে যাতে তারা ব্যাপক লাভবান হচ্ছে আর ক্রেতাগণ সুভঙ্করের ফাঁকিতে পড়ে দিন দুপুরে জোনাকি দেখছেন। বিশেষত তরুণ সমাজ যাদের একটি ভালো ক্যামেরার শখ তারাই এর শিকার হচ্ছেন; এর আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনে তারা তাদের ইচ্ছা পূরণ হতে যাচ্ছে বলে ধরে নেয় যা লুডু খেলার পাকা গুটি কাটা যাওয়ার মতো একটি বিষয়ে পরিণত হয়।

এরা কিভাবে কৌশল প্রয়োগ করে?
এরা প্রধানত টিভি চ্যানেলে এ্যাড দেয় এবং তাতে উল্লেখ করে 'অমুক টেলিকম কোম্পানির পক্ষ থেকে বাৎসরিক ছাড় হিসেবে একশটি ক্যামেরা ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে মাত্র ৭৫০০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। সৌভাগ্যবান ক্রেতা হয়ে একশোজনের মধ্যে থাকতে এখনই আমাদের অনুষ্ঠান চলাকালীন স্কিনের ইনসেটে দেওয়া এই ফোন নাম্বারে কল করুন।'
তারপর কেউ ৭০০ তম ব্যক্তি হিসেবে ফোন করলেও তারা জানাবে অভিনন্দন! আপনি ১০০ জনের মধ্যে আছেন। তারপর আপনার ঠিকানা চেয়ে নিয়ে রেজিস্টার করবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে লোক মারফত আপনাকে স্থানীয় কোনো শহরের বিশেষ স্থানে এসে আপনার পার্সেল গ্রহণ করতে বলা হবে। আপনি গিয়ে প্রাইস পে করে সেটি আনলেই দিনে জোনাকি দেখবেন।

এসব ক্যামেরার মান কেমন?
১. এসব ক্যামেরা আসলে ক্যামেরা নয়, বোকা বানানোর পণ্য। এর ভিডিও কোয়ালিটি একেবারে লো, সে হিসেবে এর দাম ২৫ হাজার বা ছাড়ে পাওয়া ৭৫০০ টাকা দূরে থাক ৩০০০ টাকা হওয়ারও যোগ্য নয়। এসব ক্যামেরা আপনাকে যে মোড়ক তথা কার্টনে করে দেওয়া হবে সেই কার্টনে একটি উন্নত ক্যামেরার ছবি থাকবে এবং অনেক সার্ভিস বন্দনা থাকবে যা বাস্তবের ক্যামরাটির সার্ভিস কন্ডিশনের সঙ্গে মিল নেই।
২. এর দাম যেখানে ৭০০০ হতে ৭৫০০ টাকা ধরা হয় সেখানে ৬৯০০ টাকার ওয়ালটন এ্যান্ডোয়েড ফোনের ক্যামেরার ভিডিওর মান এসব ক্যামেরার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।
৩. এসব ক্যামেরায় জুম হয় না, জুম করলে ভিডিও অস্পষ্ট ও ঝাপসা হয়। এসব ক্যামেরায় আলাদাভাবে জুম লেন্সও সেট করা যায় না।

তাই আজকের ফটোগ্রাফির শখপ্রিয় তরুণ-সমাজ এসব ক্যামেরা কেনা থেকে বিরত থাকুন এবং ফেসবুকে এটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের সচেতন করুন।


© মোঃ মেহেদী হাসান,
লেখক, গবেষক ও সোশ্যাল ওয়ার্কার।

Preface to Fraud Market!


স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "ফ্রোড মার্কেট" বিভাগে বাজারের বিভিন্ন ভেজাল দ্রব্য ও পণ্য বিষয়ে জানতে পারবেন এবং ভেজাল পণ্য কেনা থেকে বাঁচতে পারবেন।