Thursday, May 9, 2019

ব্যবহৃত পানির বোতলগুলো ফেলে দেওয়ার আগে নষ্ট করে দিন


বোতলজাত মিনারেল ওয়াটার পান করার পর ব্যবহৃত পানির বোতলগুলো ফেলে দেওয়ার আগে ফুটো করে কিংবা দুমড়ে মুচড়ে নষ্ট করে দিন যাতে এটি রিফিল করে কেউ ভেজাল পানি বিক্রয় করতে না পারে।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 12, 2019

বাজারের কৃত্রিম মেহেদি ব্যবহারে সতর্ক থাকুন!


প্রথমে ছবিটি দেখুন; হাত-পায়ের এই অবস্থা! বাজারের আর্টিফিশিয়াল মেহেদি'র সঙ্গে স্কিনের প্রতিক্রিয়াজনিত কারনে এমনটি হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন চিকিৎসা নেবার জন্য। জীবন বাঁচানোর জন্য মেয়েটির চার হাত-পা কেটে ফেলতে হয়েছে।

দয়াকরে এইসব টিউব মেহেদি সম্পর্কে সাবধান থাকুন।
ছবিটি দিয়ে আমাদের কৃতার্থ করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রাক্তন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনেরাল ডা. এম এ শহীদ খান (রিটায়ার্ড)।
(সংগৃহীত)

অনুগ্রহ করে তথ্যটি শেয়ার করুন।

ভালো থাকুন | School of Awareness

খোলা বাজারের কেক/ বিস্কুট খেতে সতর্ক থাকুন


ব্রান্ডবিহীন খোলা বাজারের কেক বিস্কুট যদি একান্ত খেতেই হয় তাহলে সতর্কতার সাথে অর্থাৎ প্রথমে এভাবে ভেঙ্গে নিয়ে খাবেন।
<<<ফটো পোস্ট>>>
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিত হলে অভিযোগ করুন জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্রে।


Note: এটি ফটো পোস্ট; ফটোটি সেভ করে রাখুন, হঠাৎ করে কাজে লাগতে পারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

নকল স্যামসাং ফোন চেনার উপায়।


জেনে নিন, স্যামসাং সেট ভেরিফিকেশন করার পদ্ধতি।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 11, 2019

প্রিন্টারে ড্রাম লাগানোর পরামর্শ হতে সাবধান থাকুন!


লাইফে এই প্রথম নতুন প্রিন্টার কিনেছেন কিংবা কিনতে যাচ্ছেন, কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নাই, এই বার্তা তাদের জন্য।
বরাবরই দেখবেন বিক্রেতারা বলবেন— কার্টিজ এর কালি শেষ হলে ড্রাম লাগিয়ে নিলে বারবার কালি তোলার ঝামেলা থাকবে না। কার্টিজ এর কালি শেষ হলে এসে একটা ড্রাম লাগিয়ে নিয়ে যাইয়েন, ড্রাম আমাদের এখানেই পাওয়া যায়, দাম কম ধরবো, আর ওই পাশের দোকানে যে সেটিংয়ের কাজ করে ওকেও বলে দেবো, সেও কম ধরবে।

বাহ্! কী দারুণ সুন্দর পরামর্শ। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলে। তারা যেটা বলে থাকে সেটা বাস্তবতার কথা নয়, সেটা ব্যবসায়ীক কথা। বাস্তবতা হলো এই যে, ড্রাম লাগানোর পর কেউই আর সেই প্রিন্টার দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারেন না। দুদিন পর থেকেই শুরু হর প্রিন্টারের নানান সমস্যা। এবং দেখা যায় শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় যে দুর্ঘটনাটা ঘটে তা হলো কার্টিজ নষ্ট হয়ে যাওয়া। এবার বদলাও কার্টিজ; একটি কার্টিজ এর দাম ১২০০/- টাকা। কয়েকদিন পর দেখা যায় অন্য কার্টিজটাও নষ্ট হয়ে যায়, সেটাও বদলাও। দুইটা কার্টিজ বদলানোর খরচ ২৪০০/- টাকা! অথচ বহুল ব্যবহৃত Canon Pixma iP 2772 মডেলের একটি নতুন প্রিন্টারের দামই ৩৩০০/- টাকা!
দেখা যাবে ঘন ঘন কালি তোলার ঝামেলা এড়াতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কথা শুনে আপনি পুরো প্রিন্টারটাই নষ্ট করে ফেললেন।

কেন এমন হয়?
কার্টিজ এর কালি শেষ হলে সেখানে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কালি সিরিঞ্জ দিয়ে রিফিল করতে হয় কিন্তু ড্রামের সাথে কার্টিজের কালি সরবরাহের জন্য পাইপলাইন থাকে, আর তাতে সবসময় উচ্চমাত্রার কালির চাপ থাকে। ফলে কার্টিজে সার্বক্ষণিক বিদ্যমান থাকা এই কালির চাপে কার্টিজের সেনসিটিভ কপাটিকা ল্যুজ হয়ে গিয়ে কালি পড়ে যেতে থাকে। এভাবে কার্টিজ নষ্ট হয়ে যায়। 

তাহলে কেন এটা ব্যবহার করা হয়?
কিছু কিছু কোম্পানির কিছু কিছু মডেলের দামি প্রিন্টারের সাথে ড্রাম লাগানোই থাকে। সেসব প্রিন্টার ড্রাম সিস্টেমেই তৈরি, এর কার্টিজ ভিন্নভাবে তৈরি, তাই এই জাতীয় সব চাপ সইতে পারে। কিন্তু যেসব প্রিন্টার সেই পদ্ধতির নয় এবং কার্টিজ সেনসিটিভ তাতে ড্রাম ব্যবহার করা বিধিসম্মত নয়। এসব প্রিন্টারের ইউজার মেন্যুয়াল এ-টু-জেট পড়ে দেখবেন সেখানে কোথাও এক্সট্রা ড্রাম লাগানোর কথা নাই, সেখানে সিরিঞ্জ দিয়ে কার্টিজে কালি রিফিল করার কথা বলা আছে এবং তার পদ্ধতি বর্ণনা করা আছে।

তাহলে তারা কেন এমন বলে?
এটা হলো আমাদের ব্রেন ওয়াশ করে ব্যবসা করার কৌশল। একটা ড্রাম লাগাতে খরচ পড়ে ১২০০/- টাকার মতো; সেখানে ড্রাম এর দাম ১০০০/- এর মতো এবং সেটিং করার মেকানিক খরচ ২০০/- টাকা। এসব ড্রাম উক্ত ব্রান্ডের প্রিন্টারের কোম্পানি তৈরি করে না (তারা তো ড্রাম ব্যবহারই করতে বলে না, কারণ ড্রাম সেখানে সুইটেবল না), এসব ড্রাম তৈরী হয় দেশেই আর তা চড়া দামে বিক্রি করে লাভবান হয়। একটা ড্রামে ২০০/- টাকার মতো কালি থাকে। এর প্রকোষ্ঠ, সিপি ও পাইপলাইন মিলে সেটা তৈরির খরচ ধরলাম সর্বোচ্চ ২৫০/- টাকা। তাহলে কত হয়? ৪৫০/-; কোনো এ্যাডভারটাইজিং খরচ নাই, অথচ তা বিক্রি হয় ১০০০/- টাকায়। কী লাভ!
আর এই লাভ করতেই তাদের কৌশল হলো মনভুলানো কথা বলে আমাদের ব্রেন ওয়াশ করা।

লেখা: মোঃ মেহেদী হাসান,
লেখক, গবেষক ও সোশ্যাল ওয়ার্কার।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Saturday, February 9, 2019

জমি কেনার আগে জেনে নিন, জাল দলিল চিনবেন কীভাবে?


যেভাবে জাল দলিল হয়—
সাধারণত দেখা যায়, মালিকানা ছাড়াই মালিকের ছদ্মবেশে দলিলদাতা সেজে বা কাউকে মালিক সাজিয়ে জমি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে রেজিস্ট্রি করে নেয়। অবশ্য এর সঙ্গে কিছু অসৎ কর্মচারীর যোগাযোগ থাকে। মালিকানা ছাড়াই দলিলদাতা সাজতে পারে।

অনেক সময় দেখা যায়, বণ্টননামার ক্ষেত্রে সহ-শরিকদের অজান্তে ভুয়া বণ্টননামা করে দলিল জাল এজমালি সম্পত্তি অর্থাৎ ভাইবোন মিলে যে সম্পত্তি ভোগ করে থাকে, এক্ষেত্রে দেখা যায়, ভাইয়েরা বোনদের না জানিয়ে দলিল তাদের নামেই করিয়ে থাকে। পরে জমি বিক্রয়ের ক্ষেত্রে বোনেরা দাবি করলে ক্রেতা বিপদে পড়তে পারে।

অনেক সময়, অর্পিত সম্পত্তি বা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি জীবিত দেখিয়ে জাল করা হয়। সাধারণত যেসব ক্ষেত্রে আদালত থেকে বণ্টননামা সম্পন্ন করা হয় না, সেক্ষেত্রে দলিল জালের সম্ভাবনা বেশি থাকে। গ্রামের লেখাপড়া না জানা লোকদের বিভিন্ন প্রয়োজনে অনেক সময় স্বাক্ষর জালিয়াতি করা হয়।

মালিক বিদেশে থাকলে মূল দলিল থেকে জালিয়াতি করা হতে পারে।

ধরা যাক, মালিক দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বাইরে আছেন। এই সুযোগে তাঁর এক নিকটাত্মীয় হুবহু একটি জাল দলিল তৈরি করে নিলেন এবং এ দলিল তিনি বিক্রয় দলিল হিসেবে দেখালেন। তাঁর ওই আত্মীয় এ দলিল দেখিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণও নিয়েছেন। পরে যখন এ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি, তখন সার্টিফিকেট মামলা হয় এবং মূল মালিকের বরাবর নোটিশ যায়। এখন ঋণের বোঝা এসে দাঁড়ায় মালিকের ওপর। এদিকে তাঁর নিকটাত্মীয় আত্মগোপন করেন।

জালের রকমফের—
অনেক সময় ঘষামাজা করে এবং ওভাররাইটিং বা কাটাছেঁড়া করেও দলিল জাল করতে পারে। আবার মূল তারিখ ঠিক রেখে দলিলের বিষয়বস্তু জাল করতে পারে।

আপনি যে জমিটি কিনতে যাচ্ছেন সেটার দলিল জাল কি না তা চেনার উপায়—

১. কোনো দলিল নিয়ে সন্দেহ হলে রেজিস্ট্রি অফিসে সংরক্ষণ করা দলিলের সাথে সাল মিলিয়ে দেখতে হবে। এজন্য নির্দিষ্টভাবে দরখাস্ত করতে হবে। এতে দলিলটির যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিলের প্রকৃতি অনুযায়ী চারটি রেজিস্ট্রার বা ভলিউমে সংরক্ষিত থাকে।

২. জমির স্বত্ব কী বা মালিকানা যাচাই করতে হবে। বিক্রেতার কাছ থেকে সব দলিল, বিশেষ করে ভায়া দলিল চেয়ে নিতে হবে। সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে জানতে হবে সব দলিলের ক্রমিক নম্বর, দলিল নম্বর ঠিক আছে কি না।

৩. সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে জমির মিউটেশন বা নামজারি সম্পর্কে খোঁজ নিতে হবে। নামজারিতে ধারাবাহিকতা ঠিক আছে কি না, সেটা সুচারুভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি দেখা যায়, সিএস জরিপের সঙ্গে বিক্রেতার খতিয়ানের কোনো গরমিল আছে, তাহলে বুঝতে হবে, কোনো জটিলতা আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, জরিপ খতিয়ানে জমির পরিমাণ পরবর্তী সময়ে যতবার বিক্রি হয়েছে, তার সঙ্গে জমির পরিমাণ মিল আছে কি না, তা যাচাই করে দেখা। দাগ নম্বর, ঠিকানা এসব ঠিক আছে কি না, এসব যাচাই করতে হবে।

৪. দলিল সম্পাদনের সময় ব্যবহৃত স্ট্যাম্পের পেছনে কোন ভেন্ডার থেকে স্ট্যাম্প কেনা হয়েছে এবং কার নামে কেনা হয়েছে খেয়াল রাখুন। প্রতিটি স্ট্যাম্পের পেছনে একটি ক্রমিক নম্বর উল্লেখ থাকে। এ নম্বরটি ঠিক আছে কি না, প্রয়োজনে স্ট্যাম্প বিক্রেতার সঙ্গে দেখা করে যাচাই করে নিন।

৫. এক জমির একাধিক মালিকের নামে করা থাকলে ধরে নিতে হবে দলিলটি জাল হতে পারে। এক্ষেত্রে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে মূল মালিক কে, তা নির্ণয় করতে হবে।

৬. ভূমি অফিস থেকে বিভিন্ন সিল পরীক্ষা করেও জালিয়াতি নির্ণয় করা যায়।

৭. অনেক সময় স্বাক্ষর জালিয়াতি করে দলিলদাতা বা গ্রহীতার সাজা হয়। এক্ষেত্রে স্বাক্ষর বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে স্বাক্ষরের সত্যতা যাচাই করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া ভূমি অফিস থেকে বিভিন্ন সিল পরীক্ষা করেও জালিয়াতি নির্ণয় করা যায়। খেয়াল রাখতে হবে, অনেক আগের দলিলে আগের চিহ্নিত কিছু সিল ব্যবহারই থাকে। আগের দলিল কিন্তু সিল যদি নতুন হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, দলিলটি জাল হতে পারে। একই সঙ্গে তারিখটিও ভালোভাবে যাচাই করতে হবে। দলিল রেজিস্ট্রির তারিখ কোনো সরকারি বন্ধের দিন থাকলে সন্দেহের অবকাশ থাকবে। অনেক সময় অর্পিত সম্পত্তি বা মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি জীবিত দেখিয়ে জাল করা হয়।

৮. ভালো করে তারিখ, কাগজ, সিল ইত্যাদি লক্ষ্য করুন। দেখুন কোন অসংলগ্ন চোখে পড়ে কিনা।

৯. জরিপ খতিয়ানে জমির পরিমাণ পরবর্তী সময়ে যতবার বিক্রি হয়েছে, তার সঙ্গে জমির পরিমাণ মিল আছে কি না, তা যাচাই করুন। দাগ নম্বর, ঠিকানা এসব ঠিক আছে কি না, পরীক্ষা করুন।

১০. সম্প্রতি কোনো আমমোক্তারনামা দলিল থাকলে তাতে উভয় পক্ষের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে কি না যাচাই করতে হবে।

১১. কোনো দান করা জমি হলে দলিলে সম্পাদনের তারিখ দেখে কবে জমিতে গ্রহীতা দখলে গেছে তা যাচাই করতে হবে। দলিলটি রেজিস্ট্রি করা কি না এবং দলিলদাতার সঙ্গে গ্রহীতার সম্পর্ক কী, তা যাচাই করতে হবে।

১২. সম্প্রতি সম্পন্ন হওয়া কোনো বিক্রীত দলিলের দলিল লেখকের নাম ঠিকানা জেনে সরেজমিন কথা বলে নেওয়া দরকার।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 8, 2019

মেডিকেলের গোপন তথ্য!— অসাধু ICU বাণিজ্য!


ICU তে যদি আপনাদের কোনো রোগী থাকে, আর তিনি যদি মারা যান, তাহলে হসপিটাল থেকে লাশ চেক করে আনবেন।

যেভাবে চেক করবেন-
লাশের বাম বগলে কোন ছোট্ট ছিদ্র আছে কিনা, সেটা ভাল করে খেয়াল করুণ, যদি ছিদ্র থাকে, তাহলে প্রশাসনের সাহায্য নিন।

কেননা, আপনারা হয়তো গরুকে ইনজেকশন দেওয়ার সিরিজ দেখে থাকবেন; ঠিক তদ্রূপ একটি কৃত্রিম সিরিজ আছে, যা বাম বগলে ঢুকিয়ে দিলে, মৃত রোগীও মনে হবে জীবিত আছে এবং শ্বাস গ্রহণ করছে।

আপনাদের পরিশ্রমের টাকা, বিনা কারনে কেউ ভোগ করুক, তা আমি চাইনা। একটা সিরিয়াস রুগীকে একদিন ICU তে রাখতে প্রচুর টাকা লাগে, আর এই কৃত্রিম সিরিজ দিয়ে কমপক্ষে ২৮/৩২ দিন একজন রোগীকে আটকানো খুবই ইজি।
জনস্বার্থে শেয়ার করুন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

যেভাবে প্রতিকার পাওয়া যাবে অধিক মূল্য গ্রহণকারী অসাধু ব্যবসায়ীদের থেকে!


ন্যায় বিচার নিশ্চিত হল; টাকাও পেলাম।
আমি ও আমার এক বন্ধু এক স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। আমরা অনেক কিছুর সাথে ৫০০ মি.লি. মাম পানিও নিয়েছিলাম, বিল দেওয়ার সময় তারা ১৫ টাকার পানি ২০ টাকা রাখেন।
আমরা জিজ্ঞেস করায় তাদের উগ্রস্বরে উত্তর আসে। তাদের ওই ব্যবহার আমার কাছে খুবই খারাপ লাগে। আমি বিলের কপি নিয়ে চলে আসি এবং জাতীয় ভোক্তা অধিকার এ অভিযোগ জানাই। ১০ দিনের মাথায় আমার অভিযোগের রিপ্লাই আসে এবং আমাকে শুনানীর জন্য ডাকা হয়।

আমি গেলাম, দুই পক্ষের কাছ থেকে শুনলেন এবং ভোক্তা অধিকার এর ৪০ নং ধারা অনুযায়ী ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা হয়। রেস্টুরেন্ট এর লোক আমাকে অনুরোধ করেন যাতে আমি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেই। আমি তা করিনি এবং পরবর্তীতে অনুরোধে বিভিন্ন দিক বিবেচনায় মাফ করে তা ৫,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয়।
৪০ নং ধারা অনুযায়ী অভিযোগকারী জরিমানার ২৫% পাবেন। ৫,০০০/- টাকার ২৫% হিসাবে ১,২৫০/- আমি পেলাম। প্রাপ্তিস্বীকার ফর্ম এ সাইন করে টাকা নিয়ে আসলাম।

কীভাবে অভিযোগ করবেন?
অভিযোগ করার জন্য বিল বেশি রাখার রিসিট লাগবে।
Website (www.dncrp.gov.bd) এ গিয়ে অভিযোগ ফর্ম নামাতে হবে। হাতে পূরণ করে স্ক্যান বা সুন্দর করে ছবি তুলে, সাথে রিসিট এর ছবি ও প্রোডাক্ট এর গায়ে যেই দাম আছে সেটার ছবি তুলে, E-mail address (nccc@dncrp.gov.bd) এ পাঠাতে হবে।
দুই সপ্তাহের মধ্যে রিপ্লাই এ শুনানীর তারিখ দিবে।
তবে ড্রিংক্স যদি গ্লাসে করে দেয়, তাহলে বোতলের দাম প্রযোয্য হবেনা। সার্ভিস চার্জ যোগ হয়ে দাম বেড়ে যাবে, আপনি কিছুই করতে পারবেন না।

আর, যা করবেন বিল পাওয়ার এক মাসের মধ্যে করতে হবে।
এই লিংকে বিস্তারিত বলা আছে:
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারে সচেতন হোন; জেনে নিন এটা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ!


বর্তমানে তরুণ তরুণীরা তাদের রূপচর্চার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী সচেতন। আর নিজেদের চেহারা সুন্দর করতে যথাসাধ্য সবকিছু করেন তারা। বিখ্যাত সব কোম্পানির রং ফর্সাকারী ক্রিমের ব্যবহারের পেছনে তাদের ব্যয় হয় অনেক টাকা। কিন্তু কোন ক্রিম মেখে তাদের চেহারা এত সুন্দর হচ্ছে তা থাকে অজানা। আর কিসের কারণে চেহারা এত সাদা হয় তা কি ভেবেছেন কখনো?

বেশিরভাগ সময় টেলিভিশনে রং ফর্সাকারী ক্রিমের চটকদার বিজ্ঞাপন দেখে নিজে ব্যবহার করতে শুরু করেন সেসব ক্রিম। কিন্তু রং ফর্সাকারী ক্রিম কেনার আগে একবার ভাবুন কী কিনছেন? রং ফর্সাকারী ক্রিম নাকি ত্বকের ক্যান্সার!

হ্যাঁ, গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ রং ফর্সাকারী পণ্যে মারকিউরাস কোরাইডের (পারদযৌগ) মতো অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

সম্প্রতি ভারতের সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের (সিএসই) পলিউশন মনিটরিং ল্যাবে পরীক্ষা করা সবকটি ফেয়ারনেস ক্রিমেই পারদ পাওয়া গেছে ৪৪ শতাংশেরও বেশি।

প্রাথমিকভাবে এইসব ফেয়ারনেস ক্রিম ব্যবহারের ফলে সাময়িকভাবে ত্বকের রং কিছুটা ফর্সা হলেও দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি মোটামুটি নিশ্চিত। ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এই সকল রং ফর্সাকারী ক্রিম ব্যবহারকারীরা ভাবতে পারেন এই ক্রিম ব্যবহারের ফলে তাদের ত্বকের রঙে পরিবর্তন এসেছে। আগের চেয়ে একটু ফর্সা দেখা যাচ্ছে। আসলে তাদের ত্বক ফর্সা নয় ফ্যাকাসে দেখা যাচ্ছে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রায় সব ফর্সা হওয়ার ক্রিমেই মেশানো থাকে পারদ। যার থেকে ত্বকের অ্যালার্জি, র্এ্যাশ এমনকি প্রাণঘাতী ক্যান্সারও হতে পারে।

অধিকাংশ রঙ ফর্সাকারী পণ্যে মারকিউরাস ক্লোরাইডের মতো অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। মারকিউরাস ক্লোরাইড মূলত ব্লিচের কাজ করে, আর এটাই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই এ ধরনের ক্রিম নিয়মিত ব্যবহার করলে ত্বক পাতলা হয়ে যায় ও টানটান ভাব হারায়। এতে ব্রণও সৃষ্টি হয়।

এছাড়াও ফেয়ারনেস ক্রিম ত্বককে ফটোসেনসেটিভ বা আলোক সংবেদনশীল করে তোলে। তাই এ ধরনের ত্বকে সূর্যের রশ্মি তুলনামূলক বেশি প্রভাব ফেলে এবং গুটি ও চুলকানি তৈরি হয়।

এছাড়া অনেক সংবেদনশীল ত্বকে অয়েল প্যাক, ফেশিয়াল কিংবা ম্যাসাজ করলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

ফর্সা হওয়ার ক্রিম কিংবা লোশনে অতিরিক্ত পর্যায়ে মেশানো হচ্ছে স্টেরয়েড। আর তা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে ত্বক উজ্জল করতে চর্মরোগের শিকার হচ্ছেন বহু নারীই।

এখন ভাবার বিষয় হচ্ছে আপনি আপনার নিজের আসল ত্বক নিয়ে খুশি থাকবেন নাকি এসব ক্ষতিকর জিনিসের ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনবেন।

তবে আপনি আপনার ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক নানা উপাদান ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো আপনার ত্বকের পুষ্টি জুগিয়ে ত্বককে করবে আরও সুন্দর।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, February 7, 2019

আপনি সেকলো কেনেন কি? জেনে নিন আসল 'সেকলো' চেনার উপায়!


আমরা কমবেশি সবাই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগি, আর এর থেকে বাঁচার জন্য স্কয়ার কোম্পানির সেকলো সবার প্রিয়, কিন্তু এই ঔষধেরও নকল করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা; তাই কেনার আগে খেয়াল করে নিবেন। অাসল সেকলোতে লেখা কম থাকে ও অাড়াঅাড়ি থাকে অার নকল সেকলোতে লেখার পরিমাণ বেশি ও সিরিয়ালে থাকে। এই পোস্টটি শেয়ার দিয়ে সবাইকে দেখার সুযোগ দিন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 4, 2019

এই মৌসুমের ফলে রাসায়নিক ও তা থেকে বাঁচার উপায়!


মধু মাস জৈষ্ঠ্য আসতে আরও দিন কয়েক বাকি। মধু মাস আসতে দেরি হলেও মধু মাসের ফল এসে গেছে বাজারে। কিন্তু সময়ের আগেই পাকানো এই ফলের বেশির ভাগেই আছে মধুর বদলে বিষ !

সময়ের আগেই ফল পাকিয়ে নেওয়া, রঙ আকর্ষণীয় করা আর অনেক দিন পঁচন থেকে রক্ষা করার জন্য এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ফলকে বিষাক্ত করে তুলছে। তাই ফল কেনা ও খাবার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনার কেনা ফলগুলো নিরাপদ কিনা। কেনার সময় সৌন্দর্য না দেখে একটু সচেতন থাকেন, তাহলেই কিন্তু সম্ভব রাসায়নিকমুক্ত ফল চেনা।

কী করে চিনবেন রাসায়নিকমুক্ত ফল ?
প্রথমেই লক্ষ্য করুন যে ফলের গায়ে মাছি বসছে কি-না। ফরমালিনযুক্ত ফলে মাছি বসে না। তবে কিছু কিছু বিক্রেতা অনেক বেশি ধূর্ত। তারা ফলের গায়ে চিনির সিরার হালকা প্রলেপ দিয়ে রাখে। ফলে ফরমালিন থাকা সত্ত্বেও ফলের গায়ে মাছি বসে। তাই শুধু মাছি দেখেই নিশ্চিত হবেন না যে, ওই ফল বা আমে ফরমালিন নেই।
আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছ পাকা হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর। কার্বাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের ত্বক হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আমগুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছপাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।
গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে থাকবে ভিন্নতা। বোঁটার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কার্বাইড দেওয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেওয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।
হিমসাগর ছাড়াও আরও নানান জাতের আম আছে যা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এইসব আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।
আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে গন্ধ অনুভব করুন। গাছপাকা হলে অবশ্যই বোঁটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেওয়া আম হলে কোনও গন্ধ থাকবে না, কিংবা রসুনের ঝাঁঝালো বাজে গন্ধ থাকবে।
আম মুখে দেওয়ার পর যদি দেখেন যে কোনও সৌরভ নেই, কিংবা আমে টক/ মিষ্টি কোনও স্বাদই নেই, বুঝবেন যে সে আমে ওষুধ দেওয়া।
আম কিনে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছপাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করবে চারপাশ। ওষুধ দেওয়া আমে এ মিষ্টি গন্ধ থাকবেই না।

লিচুর রঙ কাঁচা অবস্থায় হবে সবুজ, পেকে গেলে ইট রঙের। এখন গাছে থাকা অবস্থায় রাসায়নিক দেওয়ার কারনে তার রং হয়ে যায় ম্যাজেন্টা। এই ধরনের লিচু দেখতে ভালো দেখায়, কিন্তু খেতে নয়। তাই ম্যাজেন্টা রং এর লিচু কিনবেন না ।

স্বাভাবিক ফল পেকে যাওয়ার পর ফ্রিজে রাখা না হলে স্বভাবতই পঁচে যাওয়া শুরু করবে। কিন্তু ফরমালিন যুক্ত ফল ফ্রিজে না রাখলেও পঁচবে না।

অনেক সময় সচেতনতার অভাবে কিংবা উপায়হীন হয়ে রাসায়নিক মিশানো ফল আমাদের কিনতেই হয়।

আসুন জেনে নিই ফলকে কিছুটা রাসায়নিক মুক্ত করা যায় কিভাবে?
যে কোনো ধরনের রাসায়নিকই দেওয়া হোক না কেন খাওয়ার আগে ফলগুলো পানিতে ১ ঘন্টা বা তার চেয়ে কিছুটা বেশি সময় ডুবিয়ে রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখলে। তাতে শতকরা ১০০ ফরমালিন নষ্ট হয়ে যায় ।

কার্বাইড ও ফরমালিনের ক্ষতিকর দিক:
অতিমাত্রায় কার্বাইড গ্রহণ করলে ফুসফুসে পানি জমে তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড মুখ, গলা এবং কোমল ঝিল্লি পর্দায় প্রদাহ সৃষ্টি করে। এসব রাসায়নিক চোখের কর্ণিয়া ও রেটিনার কোষ ধ্বংস করে। ফলে মানুষ অন্ধ হয়ে যেতে পারে।

তাৎক্ষণিকভাবে ফরমালিন,কার্বাইডসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে পেটের পীড়া, মাথাব্যথা, বুক ধড়ফড় করা, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, বমি,ডায়রিয়া, আলসার, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে।

ধীরে ধীরে এসব রাসায়নিক পদার্থ লিভার, কিডনি, হার্ট, ব্রেন সব কিছুকে ধ্বংস করে দেয়। লিভার ও কিডনি অকেজো হয়ে যায়। হার্টকে দুর্বল করে দেয়। স্মৃতিশক্তি কমে যায়। ফরমালিনযুক্ত খাদ্য গ্রহণ করার ফলে পাকস্থলী, ফুসফুস ও শ্বাসনালিতে ক্যান্সার হতে পারে। এমনকি ব্লাড ক্যান্সারও হতে পারে। গর্ভবতী মেয়েদের ক্ষেত্রেও মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। সন্তান প্রসবের সময় জটিলতা, বাচ্চার জন্মগত দোষত্রুটি ইত্যাদি দেখা দিতে পারে, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্ম হতে পারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

সরিষার তেলের শুদ্ধতা পরীক্ষা!



সরিষার তেল খাঁটি না ভেজাল পরীক্ষা করুন। অামরা যা খাচ্ছি তা অাসলেই কি খাঁটি? জানুন ও শেয়ার করুন।

পদ্ধতি: একটি স্টেইনলেস স্টিলের টেবিল চামচে অল্প একটু সরিষার তেল ঢেলে নিন এবং গ্যাসের চুলায় আগুন জ্বালিয়ে চামচটিকে সেই আগুনের উপর ধরে তাপ দিতে থাকুন এবং তাপ দিয়ে ফুটন্ত গরম করুন। ফুটন্ত গরম অবস্থায় যদি তেলটি তার রং হারিয়ে ফেলে নারিকেল তেলের মতো রং হয়ে যায় তাহলে সেই সরিষার তেল খাঁটি নয়, আর যদি রঙ্গের কোনো পরিবর্তন না হয়ে ফুটানোর পূর্বের মতোই রং থাকে তাহলে সেই সরিষার তেল খাঁটি ও ভেজালমুক্ত।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Sunday, February 3, 2019

পাঁচ মিনিটে বোঝা যাবে তরমুজে কৃত্রিম রং!


বাজারে উঠেছে তরমুজ। তবে তাতে কৃত্রিম রং দেওয়া হয়েছে কি না—এই দ্বিধায় ক্রেতাকে সব সময়ই পড়তে হয়। এখন থেকে ঘরে বসেই এই অস্বস্তি কাটানো যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একটি গবেষক দল বের করেছেন এই পদ্ধতি।

এতে মিনিট পাঁচেকের মধ্যে জানা যাবে তরমুজে কোনো ক্ষতিকর কৃত্রিম রং আছে কি না। এই পরীক্ষা হবে কোনো রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার ছাড়া। রসায়ন বিভাগের চেয়ারপারসন নীলুফার নাহারের তত্ত্বাবধানে এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানহাউল ইসলাম ও আহসান হাবীব খন্দকার। এই দুই শিক্ষার্থী রসায়ন বিভাগ থেকে সদ্য স্নাতক পরীক্ষা দিয়েছেন।

অধ্যাপক নীলুফার নাহার প্রথম আলোকে বলেন, তরমুজ খেয়ে শিশুর অসুস্থ হওয়ার খবর পড়ে এবং ইউটিউবে ভিডিওতে তরমুজের ভেতরে সিরিঞ্জ দিয়ে কৃত্রিম রং ঢোকানোর দৃশ্য দেখে একটা কিছু করার ভাবনা শুরু হয় তাঁর মাথায়। তা ছাড়া দেশে খাদ্যের কৃত্রিম রং হিসেবে ‘রেড-৪০’ ব্যবহার করা হয়। এ রংগুলো মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।

রং শনাক্তের পদ্ধতি গবেষকদের একজন তানহাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাজার থেকে কেনা তরমুজের একটা ছোট ফালি কেটে নিতে হবে। এরপর এটিকে চিপে রস (তরমুজ জুস) ছেঁকে নিতে হবে। রসকে টেফলন টিউব (একধরনের টেস্টটিউব) অথবা বাসাবাড়ির যেকোনো স্বচ্ছ গ্লাস বা লম্বা পাত্রে নিতে হবে। এতে যতটুকু পরিমাণে তরমুজের রস নেওয়া হবে, ততটুকু পরিমাণে নারকেল তেল দিতে হবে। এরপর দ্রবণটিকে এক মিনিট ঝাঁকিয়ে রেখে দিতে হবে।

পাঁচ মিনিট এভাবে রেখে দিলে পাত্রের দ্রবণের নিচের স্তর যদি পানির মতো সাদা হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে তরমুজে কোনো কৃত্রিম রং নেই। তরমুজে কৃত্রিম রং থাকলে নিচের স্তরের পানির রং লাল বা গোলাপি হয়ে যাবে। কারণ, কৃত্রিম রং তরমুজের পানিতে দ্রবীভূত হয় না।

এই পরীক্ষার পেছনের বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করে অধ্যাপক নীলুফার নাহার বলেন, তরমুজের একটা প্রাকৃতিক রং (লাইকোপিন) রয়েছে। এটা জৈব যৌগ, যা তেলের (জৈব দ্রাবক) সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে টিউবের ওপর হলুদ রং হয়ে ভাসে। আর বাকি তরমুজের পানি (অজৈব দ্রাবক) নিচের স্তরে পড়ে থাকে। কৃত্রিম রংগুলো অজৈব যৌগ। তাই কৃত্রিম রং তরমুজের লাইকোপিনের সঙ্গে দ্রবীভূত না হয়ে নিচের স্তরেই থেকে যায়।

এই গবেষণার কাজের সঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন একই বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শোয়েব এবং প্রভাষক মো. কামরুল হাসান। মো. কামরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের কাজ বাংলাদেশে এই প্রথম।
২০১৬ সালের এপ্রিলে এই গবেষণা শুরু হয়। গবেষণার পদ্ধতি ঠিক করার আগেই তরমুজের মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় গবেষণাটি নিয়ে ভাবতে থাকেন গবেষকেরা। পরে এ বছরের মার্চ মাসে বাজারে তরমুজ আসামাত্র আবার তাঁরা গবেষণা শুরু করেন।

গবেষক দলের দুই তরুণ শিক্ষার্থী তানহাউল ও আহসান বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৪০টি তরমুজের নমুনা পরীক্ষা করে কোনোটিতে কৃত্রিম রঙের উপস্থিতি পাননি।
সুত্র: দৈনিক "প্রথম আলো"; আহমেদ দীপ্ত | ১৯ মে ২০১৭, ০৯:২০

ভালো থাকুন | School of Awareness

কেমিক্যালমুক্ত আম কিভাবে চিনবেন? জেনে নিন ১০টি উপায়!


আম পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। বাজারে গেলেই এখন পাকা আমের গন্ধে মন উচাটন হয়ে ওঠে। হাজারও রকমের আম পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। নামে যেমন বাহার, খেতে তেমন সুস্বাদু।

ছোটবেলায় আম, মুড়ি, দুধ দিয়ে মেখে খাওয়ার স্মৃতি কমবেশি সবারই আছে। কিন্তু ছোটবেলার সেই সুস্বাদু আমে এখন প্রচুর কৃত্রিম ভেজাল পাওয়া যায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ফরমালিনসহ নানা রকম কেমিক্যাল ব্যবহার করে আমকে এখন আতঙ্কের ফল হিসেবেই পরিচিতি করে তুলছে। এসব কেমিক্যাল মানুষের জন্য শুধু ভয়াবহই না মৃত্যুর আশঙ্কাও তৈরি করে।

আসুন জেনে নেই কেমিক্যালমুক্ত আম চিনবেন কি করে–

১। লক্ষ্য করুন, আমের গায়ে মাছি বসছে কি-না। এর কারণ, ফরমালিনযুক্ত আমে মাছি বসে না।

২। আম গাছে থাকা অবস্থায় বা গাছপাকা আম হলে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আমের শরীরে এক রকম সাদাটে ভাব থাকে। কিন্তু ফরমালিন বা অন্য রাসায়নিকে চুবানো আম হবে ঝকঝকে সুন্দর।

৩। কারবাইড বা অন্য কিছু দিয়ে পাকানো আমের শরীর হয় মোলায়েম ও দাগহীন। কেননা আমগুলো কাঁচা অবস্থাতেই পেড়ে ফেলে ওষুধ দিয়ে পাকানো হয়। গাছ পাকা আমের ত্বকে দাগ পড়বেই।

৪। গাছপাকা আমের ত্বকের রঙে ভিন্নতা থাকবে। গোঁড়ার দিকে গাঢ় রঙ হবে, সেটাই স্বাভাবিক। কারবাইড দেওয়া আমের আগাগোড়া হলদেটে হয়ে যায়, কখনো কখনো বেশি দেওয়া হলে সাদাটেও হয়ে যায়।

৫। হিমসাগর ছাড়াও আরও নানান জাতের আম আছে যা পাকলেও সবুজ থাকে, কিন্তু অত্যন্ত মিষ্টি হয়। গাছপাকা হলে এইসব আমের ত্বকে বিচ্ছিরি দাগ পড়ে। ওষুধ দিয়ে পাকানো হলে আমের শরীর হয় মসৃণ ও সুন্দর।

৬। আম নাকের কাছে নিয়ে ভালো করে শুঁকে কিনুন। গাছ পাকা আম হলে অবশ্যই বোটার কাছে ঘ্রাণ থাকবে। ওষুধ দেওয়া আম হলে কোনো গন্ধ থাকবে না, কিংবা বিচ্ছিরি বাজে গন্ধ থাকবে।

৭। আম মুখে দেওয়ার পর যদি দেখেন যে কোনো সৌরভ নেই কিংবা আমে টক বা মিষ্টি কোনো স্বাদ নেই, বুঝবেন সে আমে ওষুধ দেওয়া।

৮। আম কেনা হলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এমন কোথাও রাখুন যেখানে বাতাস চলাচল করে না। গাছ পাকা আম হলে গন্ধে মৌ মৌ করে চারপাশ। ওষুধ দেওয়া আমে এ মিষ্টি গন্ধ হবেই না।

৯। আমের গায়ে সাধারণত এক ধরনের সাদা পাউডারের মতো থাকে। যা পানিতে বা ফরমালিনে চুবালে চলে যায় । এটাও খেয়াল রাখুন।

১০। কেমিক্যালে পাকানো আম হলুদ না হয়ে সাদার মত রং ধারণ করে। অনেক সময় ক্রেতার নজর কাড়তে ও আমের গায়ে থাকা দাগ দূর করতে এক ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। কিছু আম আছে যে পাকলেও চামড়া সবুজ থাকে এরকম আম ক্রেতারা দেখেই কিনতে চায় না। তাই এরকম ক্রেতাদের ভুলের কারণেও কেমিক্যালের ব্যাবহার হয়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

বিষাক্ত প্লাস্টিক চাল কীভাবে চিনবেন? জেনে নিন!


বর্তমানে বাজারে প্লাস্টিকের চাল, ভেজাল ডিম বা বিষাক্ত খাবার বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন অনেকেই।

চীন ও ভারত থেকে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা এসব বিষাক্ত খাবার দেশে এনে বিক্রি করছেন।

দেশের বাজারে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে চালের দাম। তাই লোভী ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত লাভের আশায় এসব প্লাস্টিক চাল আমদানি করছেন।

এই চাল দেখতে স্বাভাবিক মনে হলেও এতে রয়েছে শুধু বিষ আর বিষ। আর সব থেকে ভয়ঙ্কর বিষয় হল এর দাম কম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা দ্রুত তা কিনেও ফেলছেন। ফলে অজান্তেই মৃত্যু থাবা বসাচ্ছে তাদের সুস্থ জীবনে।

আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিষাক্ত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় এই চাল। দেখতে একেবারে সাধারণ চালের মতো হয়। আর রান্না করার পর অনেকটা বাসমতি রাইসের মতো দেখতে লাগে।

তাই তো সরু চাল কম দামে অনেকে কিনে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। রান্নাঘর ভরিয়ে তুলছেন প্লাস্টিক চালে। খেয়ালও রাখেন না যে, চালের পরিবর্তে তারা দিনের পর দিন মৃত্যু কিনে চলেছেন।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক চাল দীর্ঘদিন ধরে খেলে ক্যান্সার, হজমের রোগ, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়াসহ একাধিক রোগ দেখা দিতে পারে।

এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে বুঝবেন কোন চলটা ভালো, আর কোনটা প্লাস্টিকের?

★ প্লাস্টিক চাল চেনার উপায়-

১. এক্ষেত্রে একটু জেনে রাখা ভালো, প্লাস্টিক চাল রান্না করার সময় অনেকক্ষণ পর্যন্ত শক্ত থাকে, যা সাধারণ চালের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা যায় না।

২. এক গ্লাস পানি নিয়ে তাতে অল্প করে চাল মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। যদি দেখেন চালটা পানির উপরে ভাসছে, তাহলে বুঝবেন এটা প্লাস্টিক চাল।

৩. অল্প করে চাল নিয়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দিন। যদি দেখেন আগুন লাগানোর পর প্লাস্টিকের গন্ধ বের হচ্ছে, তাহলে ভুলেও ওই চাল খাবেন না।

এছাড়া আগুন দেয়ার পর যদি দেখেন চাল গলে গেছে তাহলে সেটা বিষাক্ত প্লাস্টিক চাল।

প্রেস্টিসাইড (এক ধরনের বিষ যা ব্যবহৃত খাবার) উৎপাদনে চীন হল বিশ্বের এক নম্বরে। তাই তো সেদেশে উৎপাদিত প্রায় সব খাবারেই কেমিক্যালের পরিমাণ খুব বেশি থাকে। আর এসব কেমিক্যাল আমাদের শরীরে ঢুকলে অসুস্থ হয়ে পরার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

নকল ডিম চেনার উপায়, জেনে নিন এখনই!


চীনের তৈরি একপ্রকার নকল ডিম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত, নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচাতে শেয়ার করুন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সীমান্তের চোরাপথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হয়ে আসছে। যা দেখতে অবিকল হাঁস মুরগির ডিমের মতো। ২০০৪ সাল থেকেই তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্যা ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমের কোনো খাদ্যগুন ও প্রোটিন নেই। বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কীভাবে তৈরি হয় কৃত্রিম ডিম ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত প্রস্তুতপ্রণালীতে দেখা যায়, কুসুম ও সাদা অংশের সমন্বয়ে কৃত্রিম ডিম তৈরি করতে প্লাস্টিকের ছাঁচ ব্যবহৃত হয়। তবে তার আগে কুসম তৈরি করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে। সরাসরি ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও কালারিং ডাই দিয়ে লাল বা গাঢ় হলুদ রংয়ের কুসুম তৈরি করা হয়। তার ওপর অতি পাতলা স্বচ্ছ রাসায়নিকের আবরণ তৈরি করা হয়। যাতে কুসুম ও সাদা অংশ এক না হয়ে যায়। সাদা অংশ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রিজিন জিলাটিন ও এলাম। প্লাস্টিকের ছাঁচে ডিমের সাদা অংশ তৈরি করে তার মাঝখানে ডিমের কুসুম তৈরি করা হয়।
শেষ ধাপে ডিমের উপরের শক্ত খোলস তৈরি করা হয়। এর জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াক্স এর মিশ্রণ যাতে ব্যবহার করা হয় প্যারাফিন, বেনজয়িক এসিড, বেকিং পাউডার, ক্যালসিয়াম কার্বাইড। সাদা অংশকে ওয়াক্সের দ্রবণে কিছুক্ষণ নাড়ানো চাড়ানো হয়। বাইরে থেকে স্বল্প তাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেই তৈরি হয়ে যায় হুবহু ডিমের মতো দেখতে একটি বস্তু।

★ আসল ডিম থেকে নকল ডিম আলাদা করার উপায়ঃ
১. নকল ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড় এবং এর খোসা মসৃণ ও আসল ডিমের চাইতে অনেকটাই বেশি চকচকে।
২. নকল ডিমকে যদি আপনি সাবান বা অন্য কোনো তীব্র গন্ধযুক্ত বস্তুর সাথে রাখেন, ডিমের মাঝে সেই গন্ধ ঢুকে যায়।
৩. কৃত্রিম ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। অল্প চাপে ভেঙ্গে যায়।
৪. ভাঙ্গার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর সাদা ও হলুদ অংশ দ্রুত মিশে যায়।
৫. এ ডিম সিদ্ধ করলে এর কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়। কুসুমে আসল ডিমের কুসুমের মতো গন্ধ পাওয়া যায় না।
৬. নকল ডিম দিয়ে তৈরি খাবারে এটা ডিমের কাজ করে না। যেমন পুডিং বা কাবাবে ডিম দিলেন বাইনডার হিসাবে। কিন্তু রান্নার পর দেখবেন কাবাব ফেটে যাবে, পুডিং জমবে না।

ইন্টারনেট এর বিভিন্ন সাইট থেকে আরো জানা যায়, চীনে তৈরী হওয়া এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত। কৃত্রিম ডিম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এ ধরনের ডিম খেলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের কারণ।
(সংগৃহীত ও সম্পাদিত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 1, 2019

আইসক্রিম তৈরিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিষাক্ত ঘনচিনি!


জনসচেতনতা জরুরি!
আইসক্রিম বানাতে চিনির ব্যবহার নাই। স্যাকারিন চালু ছিল, এখন তাও বাদ। শুধু বিষাক্ত ঘনচিনি। রং, অ্যারারোট, কাপড়ের রং, সাইট্রিক এসিড, বিভিন্ন ফ্লেভার হল উপাদান।
- এত বেশি ঘনচিনি তো আগে দেখি নাই, কই পেলেন?
- জানি না মালিক জানে।
- প্লেইন চিনিতে সমস্যা কি?
- পড়তা পড়ে না (পোষায় না)।
- মানে?
- সামান্য ঘনচিনি কেজি কেজি নরমাল চিনির সমান এ জন্য মিশাই।
- এটা ক্ষতিকর জানেন?
- মালিক বলে তাই মিশাই এই তো।
কাপ আইসক্রিম তো দেখতে পোলার ইগলুর কাপের মত, প্রথম দেখে তো ভাবলাম পোলার কিনা।
হাসি....

সূত্র: ভ্রাম্যমাণ আদালত। স্থান-দেলি বাজার, ছোট কুমিরা, সীতাকুন্ড, চট্টগ্রাম। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব রুহুল আমিন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, January 31, 2019

প্রাকৃতিকভাবে পাকা কলা ও রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কলা চেনায় উপায়!


জেনে নিন এবং রাসায়নিক দিয়ে পাকানো কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন; কারণ রাসায়নিক প্রয়োগে পাকানো কলা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি!

Note: ফটোটি সেভ করার পর ওপেন করে জুম করলে ভালো দেখতে পাবেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, January 24, 2019

সয়াবিন তেল ও পাউডারে তৈরি নকল দুধ!


বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় নকল দুধের কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। জব্দ করেছে নকল দুধ ও দুধ তৈরির বিভিন্ন রাসায়নিক উপকরণ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আজ রোববার সকালে উপজেলার শিহিপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। সেখানে দলটি নকল দুধ তৈরির কারখানার সন্ধান পায়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ নকল দুধ এবং এই দুধ তৈরিতে ব্যবহৃত সয়াবিন তেল, হোয়াইট পাউডার, হাইড্রোজেন পার অক্সাইডসহ নানা রাসায়নিক উপকরণ জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তিনজন কারিগরকে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পাবনার বেড়া উপজেলার নাকালিয়া গ্রামের সরজিত ঘোষ, একই উপজেলার পাটুরিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের আবদুল হান্নান এবং সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ঘোষ পাড়ার সজীব কুমার ঘোষ।

পুলিশ আরও জানায়, কারখানাটিতে কেমিক্যাল মিশ্রিত সাদা পাউডার, মিল্ক পাউডার, গ্লুকোজ এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তৈরি করা হতো তরল দুধ। নকল এই দুধ গরুর খাঁটি দুধ বলে বিক্রি করা হতো খুচরা ও পাইকারি বাজারে। তরল দুধ বাজারজাতকারী বিভিন্ন কোম্পানিতেও সরবরাহ করা হতো এই নকল দুধ। দীর্ঘদিন ধরে কারখানাটিতে ভেজাল দুধ তৈরি করা হচ্ছিল বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তার তিন কারিগর। তাঁরা বলেছেন, সেখানে বছরে প্রায় সাড়ে তিন লাখ থেকে চার লাখ লিটার দুধ তৈরি করতেন তাঁরা। দুধে ননি আনতে মেশানো হতো সয়াবিন তেল। আর বেশি দিন সংরক্ষণ করতে মেশানো হতো হাইড্রোজেন পার অক্সাইড।

ঘটনাটি তুলে ধরতে আজ দুপুরে বগুড়ার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওই কারখানা থেকে প্রায় ১০০ লিটার নকল তরল দুধ, ১০ কেজি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, ২৫ কেজি হোয়াইট পাউডার, ১০ কেজি গ্লুকোজ, ২০ লিটার সয়াবিন তেল, পাঁচটি ব্লেন্ডার মেশিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

এসপি জানান, ওই নকল দুধের কারবারিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে। প্রধান কারবারিদের ধরতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গ্রেপ্তার কারিগরেরা পুলিশকে বলেছেন, কেমিক্যালের সঙ্গে নকল দুধে অনেক সময় ফরমালিনও মেশানো হতো।

বগুড়ার সিভিল সার্জন অর্ধেন্দু দেব বলেন, রাসায়নিক মিশ্রিত এসব ভেজাল দুধ মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পেটের পীড়া, ডায়রিয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর কারণে এসব দুধ খেয়ে কিডনি ও লিভার বিকল হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সুত্র: দৈনিক 'প্রথম আলো' নিউজ।

ভালো থাকুন | School of Awareness

কীভাবে চিনবেন মধু আসল না নকল?


মধু প্রাকৃতিক খাবার। মিষ্টি স্বাদের এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। আর খেতেও সুস্বাদু।
তবে বাজার থেকে মধু কিনতে গেলে অনেকেই ভয়ের মধ্যে থাকেন। কেননা, নকল মধুর ভিড়ে খাঁটি মধু কোনটি, সেটি চেনাই মুশকিল হয়ে যায়। তাই বলে কি মধু খাওয়া বন্ধ থাকবে?
একটু সতর্ক হয়ে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলেই কিন্তু বুঝবেন, আসল ও নকল মধু কোনটি।
প্রাকৃতিক মধু কারখানায় উৎপন্ন করা হয় না। তবে অনেকেই কারখানায় উৎপন্ন করে মধুকে প্রাকৃতিক হিসেবে বাজারে চালায়। তাই অনেক সময় খাঁটি মধু চেনা মুশকিল হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, নকল মধুগুলোতে বেশি লাভের জন্য চিনিযুক্ত সিরাপ মেশানো হয়। এতে মিষ্টির পরিমাণ বাড়ে। নকল মধু খেলে স্বাস্থ্যের কোনো লাভই হয় না। উল্টো স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। আর নকল জিনিস কিনলে টাকার অপচয় তো হয়ই।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে নকল মধু চেনার কিছু উপায়ের কথা।
১. আঙুলের পরীক্ষা: সামান্য মধু বৃদ্ধাঙ্গুলে নিন। এর পুরুত্ব দেখুন। আসল মধু অনেক বেশি আঠালো হবে।
২. পানির পরীক্ষা: একটি খালি গ্লাসে পানি নিন। এর মধ্যে এক টেবিল চামচ মধু ঢালুন। নকল মধু খুব দ্রুত পানির সঙ্গে মিশে যাবে। আর আসল মধু গ্লাসের তলানিতে গিয়ে জমতে থাকবে। পানিতে মিশতে সময় নেবে।
৩. ভিনেগার পরীক্ষা: মধুর মধ্যে সামান্য পানি ও দুই থেকে তিন ফোঁটা ভিনেগার দিন। যদি ফেনার মতো তৈরি হয়, তাহলে বুঝবেন মধুটি নকল।
এ ছাড়া মধু দেখলেও অনেক সময় বোঝা যায় নকল কি আসল।
নকল মধু:-
• ফেনা হয়।
• একটু টকটক গন্ধ থাকে বা গন্ধ তেমন ভালো হয় না।
• সহজে ঝরে যায়, পাতলা হয়।
• তলানিটা খসখসে থাকে।
• স্তরগুলো আলাদা করা যায়।
আসল মধু:-
• ফেনা হয় না।
• সব সময় পুরু থাকে।
• তলানিটা মসৃণ হয়।
• মধুর স্বাভাবিক সুন্দর গন্ধ থাকে।
• স্তরগুলো আলাদা থাকে না।
এখন আপনি জানলেন, কীভাবে আসল ও নকল মধু চিনবেন। তাহলে কেনার সময় একটু সতর্ক হবেন নিশ্চয়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 23, 2019

টেলিমালের ক্যামেরা কিনেছেন তো ঠকেছেন!

বিভিন্ন টেলিমাল কোম্পানি তাদের নাম ও ব্রান্ডবিহীন ক্যামেরা আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রি করে আসছে যাতে তারা ব্যাপক লাভবান হচ্ছে আর ক্রেতাগণ সুভঙ্করের ফাঁকিতে পড়ে দিন দুপুরে জোনাকি দেখছেন। বিশেষত তরুণ সমাজ যাদের একটি ভালো ক্যামেরার শখ তারাই এর শিকার হচ্ছেন; এর আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপনে তারা তাদের ইচ্ছা পূরণ হতে যাচ্ছে বলে ধরে নেয় যা লুডু খেলার পাকা গুটি কাটা যাওয়ার মতো একটি বিষয়ে পরিণত হয়।

এরা কিভাবে কৌশল প্রয়োগ করে?
এরা প্রধানত টিভি চ্যানেলে এ্যাড দেয় এবং তাতে উল্লেখ করে 'অমুক টেলিকম কোম্পানির পক্ষ থেকে বাৎসরিক ছাড় হিসেবে একশটি ক্যামেরা ২৫ হাজার টাকার পরিবর্তে মাত্র ৭৫০০ টাকায় দেওয়া হচ্ছে। সৌভাগ্যবান ক্রেতা হয়ে একশোজনের মধ্যে থাকতে এখনই আমাদের অনুষ্ঠান চলাকালীন স্কিনের ইনসেটে দেওয়া এই ফোন নাম্বারে কল করুন।'
তারপর কেউ ৭০০ তম ব্যক্তি হিসেবে ফোন করলেও তারা জানাবে অভিনন্দন! আপনি ১০০ জনের মধ্যে আছেন। তারপর আপনার ঠিকানা চেয়ে নিয়ে রেজিস্টার করবে এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে লোক মারফত আপনাকে স্থানীয় কোনো শহরের বিশেষ স্থানে এসে আপনার পার্সেল গ্রহণ করতে বলা হবে। আপনি গিয়ে প্রাইস পে করে সেটি আনলেই দিনে জোনাকি দেখবেন।

এসব ক্যামেরার মান কেমন?
১. এসব ক্যামেরা আসলে ক্যামেরা নয়, বোকা বানানোর পণ্য। এর ভিডিও কোয়ালিটি একেবারে লো, সে হিসেবে এর দাম ২৫ হাজার বা ছাড়ে পাওয়া ৭৫০০ টাকা দূরে থাক ৩০০০ টাকা হওয়ারও যোগ্য নয়। এসব ক্যামেরা আপনাকে যে মোড়ক তথা কার্টনে করে দেওয়া হবে সেই কার্টনে একটি উন্নত ক্যামেরার ছবি থাকবে এবং অনেক সার্ভিস বন্দনা থাকবে যা বাস্তবের ক্যামরাটির সার্ভিস কন্ডিশনের সঙ্গে মিল নেই।
২. এর দাম যেখানে ৭০০০ হতে ৭৫০০ টাকা ধরা হয় সেখানে ৬৯০০ টাকার ওয়ালটন এ্যান্ডোয়েড ফোনের ক্যামেরার ভিডিওর মান এসব ক্যামেরার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত।
৩. এসব ক্যামেরায় জুম হয় না, জুম করলে ভিডিও অস্পষ্ট ও ঝাপসা হয়। এসব ক্যামেরায় আলাদাভাবে জুম লেন্সও সেট করা যায় না।

তাই আজকের ফটোগ্রাফির শখপ্রিয় তরুণ-সমাজ এসব ক্যামেরা কেনা থেকে বিরত থাকুন এবং ফেসবুকে এটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের সচেতন করুন।


© মোঃ মেহেদী হাসান,
লেখক, গবেষক ও সোশ্যাল ওয়ার্কার।

Preface to Fraud Market!


স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "ফ্রোড মার্কেট" বিভাগে বাজারের বিভিন্ন ভেজাল দ্রব্য ও পণ্য বিষয়ে জানতে পারবেন এবং ভেজাল পণ্য কেনা থেকে বাঁচতে পারবেন।