চীনের তৈরি একপ্রকার নকল ডিম বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত, নিজে বাঁচুন অন্যকে বাঁচাতে শেয়ার করুন।
বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকার সীমান্তের চোরাপথে চীন থেকে কৃত্রিম ডিম পাচার হয়ে আসছে। যা দেখতে অবিকল হাঁস মুরগির ডিমের মতো। ২০০৪ সাল থেকেই তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান সাময়িকী ‘দ্যা ইন্টারনেট জার্নাল অফ টক্সোকোলজি’তে কৃত্রিম ডিম সম্পর্কে বিশ্লেষণধর্মী তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কৃত্রিম ডিমের কোনো খাদ্যগুন ও প্রোটিন নেই। বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। কীভাবে তৈরি হয় কৃত্রিম ডিম ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত প্রস্তুতপ্রণালীতে দেখা যায়, কুসুম ও সাদা অংশের সমন্বয়ে কৃত্রিম ডিম তৈরি করতে প্লাস্টিকের ছাঁচ ব্যবহৃত হয়। তবে তার আগে কুসম তৈরি করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে। সরাসরি ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ও কালারিং ডাই দিয়ে লাল বা গাঢ় হলুদ রংয়ের কুসুম তৈরি করা হয়। তার ওপর অতি পাতলা স্বচ্ছ রাসায়নিকের আবরণ তৈরি করা হয়। যাতে কুসুম ও সাদা অংশ এক না হয়ে যায়। সাদা অংশ তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রিজিন জিলাটিন ও এলাম। প্লাস্টিকের ছাঁচে ডিমের সাদা অংশ তৈরি করে তার মাঝখানে ডিমের কুসুম তৈরি করা হয়।
শেষ ধাপে ডিমের উপরের শক্ত খোলস তৈরি করা হয়। এর জন্য ব্যবহার করা হয় ওয়াক্স এর মিশ্রণ যাতে ব্যবহার করা হয় প্যারাফিন, বেনজয়িক এসিড, বেকিং পাউডার, ক্যালসিয়াম কার্বাইড। সাদা অংশকে ওয়াক্সের দ্রবণে কিছুক্ষণ নাড়ানো চাড়ানো হয়। বাইরে থেকে স্বল্প তাপ প্রয়োগ করা হয়। এতেই তৈরি হয়ে যায় হুবহু ডিমের মতো দেখতে একটি বস্তু।
★ আসল ডিম থেকে নকল ডিম আলাদা করার উপায়ঃ
১. নকল ডিম আকারে আসল ডিমের তুলনায় সামান্য বড় এবং এর খোসা মসৃণ ও আসল ডিমের চাইতে অনেকটাই বেশি চকচকে।
২. নকল ডিমকে যদি আপনি সাবান বা অন্য কোনো তীব্র গন্ধযুক্ত বস্তুর সাথে রাখেন, ডিমের মাঝে সেই গন্ধ ঢুকে যায়।
৩. কৃত্রিম ডিম অনেক বেশি ভঙ্গুর। অল্প চাপে ভেঙ্গে যায়।
৪. ভাঙ্গার পর আসল ডিমের মতো কুসুম এক জায়গায় না থেকে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর সাদা ও হলুদ অংশ দ্রুত মিশে যায়।
৫. এ ডিম সিদ্ধ করলে এর কুসুম বর্ণহীন হয়ে যায়। কুসুমে আসল ডিমের কুসুমের মতো গন্ধ পাওয়া যায় না।
৬. নকল ডিম দিয়ে তৈরি খাবারে এটা ডিমের কাজ করে না। যেমন পুডিং বা কাবাবে ডিম দিলেন বাইনডার হিসাবে। কিন্তু রান্নার পর দেখবেন কাবাব ফেটে যাবে, পুডিং জমবে না।
ইন্টারনেট এর বিভিন্ন সাইট থেকে আরো জানা যায়, চীনে তৈরী হওয়া এসব কৃত্রিম বা নকল ডিম এক কথায় বিষাক্ত। কৃত্রিম ডিম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, স্টার্চ, রেসিন, জিলেটিন মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন এ ধরনের ডিম খেলে স্নায়ুতন্ত্র ও কিডনিতে সমস্যা হতে পারে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফুসফুসের ক্যান্সারসহ বিভিন্ন জটিল রোগের কারণ।
(সংগৃহীত ও সম্পাদিত)
ভালো থাকুন | School of Awareness
No comments:
Post a Comment